মন্তব্য প্রতিবেদন
শেষ হলো যুদ্ধ,
চলছে ফল প্রকাশ
মেহেরুল হাসান সুজন, ২৫ অক্টোবর ২০০৯
শেষ হলো দীর্ঘ ১৪ দিনের যুদ্ধ। যুদ্ধই বটে,১২৪ জনকে হারিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আসনে ভর্তির সুযোগ পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। গত ১২ অক্টোবর ৪টি বিভাগের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের ভর্তি পরীক্ষা, ভর্তিযুদ্ধ। আজ রোববার তা শেষও হলো ৪টি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে।
এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭টি বিভাগে ৩ হাজার ২৮৫টি আসন দখলের লড়াইয়ে নামার আগে আবেদন জমা পড়েছিলো চার লাখেরও বেশি। ভর্তি পরীক্ষা শুরুর পর এবার তাই ভিড়ের চাপটাও লক্ষ্য করা গেছে হাড়ে হাড়ে। বিশেষ করে কলা, সামাজিক, বাণিজ্য ও আইন অনুষদের বিভাগগুলোর পরীক্ষার দিনে ক্যাম্পাসে ভিড় এড়িয়ে পা ফেলার সুযোগ ছিলো খুবই কম। বিজ্ঞানের পরীক্ষাগুলোতে অবশ্য বেশ আয়েশেই স্বপ্নের ক্যাম্পাসে বিচরণ করতে পেরেছেন ভর্তিচ্ছুরা।
পরীক্ষা চলাকালীন এই ১৪ দিনে ক্যাম্পাসে ভর্তিচ্ছু-অভিভাবকদের ভিড় ছাপিয়ে দেখা গেছে হরেক ব্যবসার পসরা। সবচেয়ে রমরমা ব্যবসার কথা যদি বলতে হয়, তবে সেটি ফলাফল জানানোর বুথ। পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়েই ভর্তিচ্ছুর চোখের সামনে টেবিল-চেয়ার পেতে বেসছিলেন এসব বুথের কর্মীরা। তারা জানাচ্ছিলেন পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরপরই তারা ভর্তিচ্ছুকে সেলফোনে তা জানিয়ে দেবেন। সেজন্য সামান্য কটা টাকার বিনিময়ে করতে হয়েছে রেজিস্ট্রেশন। তবে অবাক করা ব্যাপার হলো-প্রায় গোটা বিশেক এমন বুথের কর্মীরা রেজিস্ট্রেশন ফি হিসেবে নিয়েছেন ভিন্ন পরিমাণ টাকা। কেউ ৫, কেউ ৩, কেউ ২ আবার কেই ১টাকা নিয়েছেন বিভাগ প্রতি ফল জানাতে। একটি ছাত্রসংগঠনকে দেখা গেছে ১ টাকার রেজিস্ট্রেশনে সব বিভাগের ফল জানাতে রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন তারা। পরীক্ষা চলাকালেই অবশ্য অনেক ভর্তিচ্ছু অভিযোগ করেছেন, কয়েকটি বিভাগের ফল প্রকাশ হলেও তা জানাতে সময় পান নি বুথওয়ালারা। তার প্রমাণ অবশ্য মিলেছে বাণিজ্য অনুষদের বিভাগগুলোর পরীক্ষা শেষ হবার পর। সেসময় থেকেই প্রায় অর্ধেক বুথ উঠে গেছে জায়গা ছেড়ে। এসবের বাইরেও ব্যতিক্রম এখানে ছিলো। রক্তদাতা সংগঠন বাঁধন, সংবাদপত্র পাঠক ফোরামসহ কয়েকটি সংগঠনের কর্মীরা বিনা টাকায় রেজিস্ট্রেশন করিয়ে ফল জানাচ্ছেন ভর্তিচ্ছুদের। ব্যবসার ভিড়ে এরা প্রশংসা পাবার যোগ্যই বটে।
অন্যবারের মতো এবার জালিয়াতদের দৌড় বেশ কম ছিলো বলেই মনে হয়েছে। ১৪ দিনে হাতে গোনা ১৫-২০ জনকে এমন অভিযোগে আটক করেছে প্রক্টরিয়াল বডি। তাও বড় ধরণের জালিয়াতি নয়,অধিকাংশই দেখাদেখি করা অপরাধে দুষ্ট। ৫-৬ জনকে অবশ্য আটক করা হয়েছিলো ছবি বদল করে পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগে। এবার প্রক্টরিয়াল বডির শাস্তিও বেশ আলোচিত। অসদুপায় অবলম্বনে আটক ভর্তিচ্ছুদের এবার শুধু ওই পরীক্ষাতেই নয়;অন্য বিভাগের পরীক্ষাতেও অংশ নিতে দেন নি তারা। অবশ্য, এসবের ফাঁকফোঁকরে কিছু প্রতারক যে পার হয়ে যায় নি তা নিশ্চিত করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
সব বিভাগের পরীক্ষা শেষ হবার আগেই শুরু হয়েছে অনেক বিভাগের ফল প্রকাশ। রোববার পর্যন্ত ২৩টি বিভাগের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের প্রথম কমিউনিটি অন-লাইন সংবাদপত্র আরইউনিউজ এবার ফল প্রকাশ হবার পরপরই তা নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রচার করে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই বাকি সব বিভাগের ফল জানা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর দায়িত্বশীলরা। চলতি মাসের শেষ নাগাদ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সাক্ষাতকারও শুরু হচ্ছে। অধিকাংশ বিভাগের সাক্ষাতকার ডিসেম্বরে শুরু হবে। সেসব প্রক্রিয়া শেষে এই যুদ্ধে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠবে মতিহারের এই সবুজ চত্ত্বর। নতুন এই বিজয়ী যোদ্ধাদের বরণ করে নিতে এখনই যেন প্রস্তুত হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বিশ্ববিদ্যালয়।
শেষ হলো দীর্ঘ ১৪ দিনের যুদ্ধ। যুদ্ধই বটে,১২৪ জনকে হারিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আসনে ভর্তির সুযোগ পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। গত ১২ অক্টোবর ৪টি বিভাগের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের ভর্তি পরীক্ষা, ভর্তিযুদ্ধ। আজ রোববার তা শেষও হলো ৪টি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে।
এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭টি বিভাগে ৩ হাজার ২৮৫টি আসন দখলের লড়াইয়ে নামার আগে আবেদন জমা পড়েছিলো চার লাখেরও বেশি। ভর্তি পরীক্ষা শুরুর পর এবার তাই ভিড়ের চাপটাও লক্ষ্য করা গেছে হাড়ে হাড়ে। বিশেষ করে কলা, সামাজিক, বাণিজ্য ও আইন অনুষদের বিভাগগুলোর পরীক্ষার দিনে ক্যাম্পাসে ভিড় এড়িয়ে পা ফেলার সুযোগ ছিলো খুবই কম। বিজ্ঞানের পরীক্ষাগুলোতে অবশ্য বেশ আয়েশেই স্বপ্নের ক্যাম্পাসে বিচরণ করতে পেরেছেন ভর্তিচ্ছুরা।
পরীক্ষা চলাকালীন এই ১৪ দিনে ক্যাম্পাসে ভর্তিচ্ছু-অভিভাবকদের ভিড় ছাপিয়ে দেখা গেছে হরেক ব্যবসার পসরা। সবচেয়ে রমরমা ব্যবসার কথা যদি বলতে হয়, তবে সেটি ফলাফল জানানোর বুথ। পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়েই ভর্তিচ্ছুর চোখের সামনে টেবিল-চেয়ার পেতে বেসছিলেন এসব বুথের কর্মীরা। তারা জানাচ্ছিলেন পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরপরই তারা ভর্তিচ্ছুকে সেলফোনে তা জানিয়ে দেবেন। সেজন্য সামান্য কটা টাকার বিনিময়ে করতে হয়েছে রেজিস্ট্রেশন। তবে অবাক করা ব্যাপার হলো-প্রায় গোটা বিশেক এমন বুথের কর্মীরা রেজিস্ট্রেশন ফি হিসেবে নিয়েছেন ভিন্ন পরিমাণ টাকা। কেউ ৫, কেউ ৩, কেউ ২ আবার কেই ১টাকা নিয়েছেন বিভাগ প্রতি ফল জানাতে। একটি ছাত্রসংগঠনকে দেখা গেছে ১ টাকার রেজিস্ট্রেশনে সব বিভাগের ফল জানাতে রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন তারা। পরীক্ষা চলাকালেই অবশ্য অনেক ভর্তিচ্ছু অভিযোগ করেছেন, কয়েকটি বিভাগের ফল প্রকাশ হলেও তা জানাতে সময় পান নি বুথওয়ালারা। তার প্রমাণ অবশ্য মিলেছে বাণিজ্য অনুষদের বিভাগগুলোর পরীক্ষা শেষ হবার পর। সেসময় থেকেই প্রায় অর্ধেক বুথ উঠে গেছে জায়গা ছেড়ে। এসবের বাইরেও ব্যতিক্রম এখানে ছিলো। রক্তদাতা সংগঠন বাঁধন, সংবাদপত্র পাঠক ফোরামসহ কয়েকটি সংগঠনের কর্মীরা বিনা টাকায় রেজিস্ট্রেশন করিয়ে ফল জানাচ্ছেন ভর্তিচ্ছুদের। ব্যবসার ভিড়ে এরা প্রশংসা পাবার যোগ্যই বটে।
অন্যবারের মতো এবার জালিয়াতদের দৌড় বেশ কম ছিলো বলেই মনে হয়েছে। ১৪ দিনে হাতে গোনা ১৫-২০ জনকে এমন অভিযোগে আটক করেছে প্রক্টরিয়াল বডি। তাও বড় ধরণের জালিয়াতি নয়,অধিকাংশই দেখাদেখি করা অপরাধে দুষ্ট। ৫-৬ জনকে অবশ্য আটক করা হয়েছিলো ছবি বদল করে পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগে। এবার প্রক্টরিয়াল বডির শাস্তিও বেশ আলোচিত। অসদুপায় অবলম্বনে আটক ভর্তিচ্ছুদের এবার শুধু ওই পরীক্ষাতেই নয়;অন্য বিভাগের পরীক্ষাতেও অংশ নিতে দেন নি তারা। অবশ্য, এসবের ফাঁকফোঁকরে কিছু প্রতারক যে পার হয়ে যায় নি তা নিশ্চিত করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
সব বিভাগের পরীক্ষা শেষ হবার আগেই শুরু হয়েছে অনেক বিভাগের ফল প্রকাশ। রোববার পর্যন্ত ২৩টি বিভাগের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের প্রথম কমিউনিটি অন-লাইন সংবাদপত্র আরইউনিউজ এবার ফল প্রকাশ হবার পরপরই তা নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রচার করে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই বাকি সব বিভাগের ফল জানা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর দায়িত্বশীলরা। চলতি মাসের শেষ নাগাদ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সাক্ষাতকারও শুরু হচ্ছে। অধিকাংশ বিভাগের সাক্ষাতকার ডিসেম্বরে শুরু হবে। সেসব প্রক্রিয়া শেষে এই যুদ্ধে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠবে মতিহারের এই সবুজ চত্ত্বর। নতুন এই বিজয়ী যোদ্ধাদের বরণ করে নিতে এখনই যেন প্রস্তুত হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বিশ্ববিদ্যালয়।
হারিয়ে যাচ্ছে প্যারিস রোডের সৌন্দর্য

প্যারিস রোড
রাতে প্যারিস রোড দিয়ে সোডিয়াম বাতির নিচে কখনও হেঁটেছেন কি ? তার সৌন্দর্য কি কখনও অবলোকন করেছেন? পাঠক, আমার প্রশ দুইটা মনেহয় একটু অবান্তরই হয়ে গেল। যেখানে আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষকে তার মৌলিক চাহিদা পুরণ করবার জন্য সংগ্রাম করতে হয়, সেখানে আবার রাতে প্যারিস রোড দিয়ে সোডিয়াম বাতির নিচ দিয়ে হাঁটা ! কিন্তু আমরা যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত তাদের কাছে খুবই সম্ভব। আমাদের এখান দিয়ে হাঁটার জন্য ফ্রান্স যেতে হবেনা। একটু ইচ্ছা
করলেই আমরা এই সৌন্দর্য অনুভব করতে পারি। কিন্তু আমাদের এই গৌরব আজ হারাতে বসেছে। প্যারিস রোডে আজ আর সোডিয়াম বাতি নেই। অথচ দুই বছর আগেও পুরো রাস্তা সোডিয়াম বাতির আলোয় আলোকিত হত। এমনকি রাস্তার দুই পার্শ্বে বহুকাল ধরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলোর দু’একটি ইতোমধ্যেই মরে গেছে। তাই আমাদের এখনই এ গাছগুলো সংরক্ষনের ব্যাবস্থা নিতে হবে। এ দায়িত্ব শুধুমাত্র কতৃপক্ষের নয়, বরং আমাদের সকলের। আর কতৃপক্ষের কাছে আমাদের আবেদন, প্যারিস রোডে আবারও সোডিয়াম বাতি দিয়ে তার অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমরা যে আজও রাতে প্যারিস রোড দিয়ে সোডিয়াম বাতির নিচে হাঁটার স্বপ্ন দেখি।
-মো: আমিনুল ইসলাম (মাসুম)
করলেই আমরা এই সৌন্দর্য অনুভব করতে পারি। কিন্তু আমাদের এই গৌরব আজ হারাতে বসেছে। প্যারিস রোডে আজ আর সোডিয়াম বাতি নেই। অথচ দুই বছর আগেও পুরো রাস্তা সোডিয়াম বাতির আলোয় আলোকিত হত। এমনকি রাস্তার দুই পার্শ্বে বহুকাল ধরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলোর দু’একটি ইতোমধ্যেই মরে গেছে। তাই আমাদের এখনই এ গাছগুলো সংরক্ষনের ব্যাবস্থা নিতে হবে। এ দায়িত্ব শুধুমাত্র কতৃপক্ষের নয়, বরং আমাদের সকলের। আর কতৃপক্ষের কাছে আমাদের আবেদন, প্যারিস রোডে আবারও সোডিয়াম বাতি দিয়ে তার অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমরা যে আজও রাতে প্যারিস রোড দিয়ে সোডিয়াম বাতির নিচে হাঁটার স্বপ্ন দেখি।
-মো: আমিনুল ইসলাম (মাসুম)
বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সমৃদ্ধ
রাবি’র শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা

রুহুল আমীন হৃদয়
বাঙালি জাতির মাতৃভাষা বাংলা। আর এই মহান ভাষা বাংলাকে বাংলাদেশে স্থায়িভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে বিলিয়ে দিতে হয়েছে বুকের তাজা রক্ত। বলা হয় সেই আন্দোলনের পটভুমিতেই রাজশাহী বিশ্বদ্যিালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। মতিহারের সবুজ চত্বরে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য যেমন প্রতিটি মানুষের চোখ জুড়িয়ে দেয় তেমনি এখানকার অবকাঠামোগুলোও হৃদয়কে পুলকিত করে তোলে। তেমনই একটি অবকাঠামো হচ্ছে শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইট দিয়ে ঢুকে ডান দিকে যেতেই চোখে পড়বে সুবিশাল শহীদ মিনার। এরই পাদদেশে ১৯৯০ সালের ২১ ফেব্র“য়ারি দেশের প্রথম মুক্তযুদ্ধ ভিত্তিক এই সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেন তিন শহীদ শিক্ষক পত্নী বেগম ওয়াহিদা রহমান, বেগম মাস্তুরা খানম এবং শ্রীমতি চম্পা সমাদ্দার। শিল্পী ফণীন্দ্রনাথ রায় এর তৈরী শহীদ মিনারের মুক্তমঞ্চের গ্রীণরুমেই এই সংগ্রশালা গড়ে উঠে। ২১ ফেব্র“য়ারী ১৯৭৬ সালে সংগ্রহশালাটি প্রথম দর্শকদের জন্য খুলে দেয়া হয়। একই বছর তৎকালীন শিক্ষা উপদেষ্টা আবুল ফজল ৬ মার্চ সংগ্রহশালার প্রথম উদ্বোধন করেন। বিস্তারিত
বাঙালি জাতির মাতৃভাষা বাংলা। আর এই মহান ভাষা বাংলাকে বাংলাদেশে স্থায়িভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে বিলিয়ে দিতে হয়েছে বুকের তাজা রক্ত। বলা হয় সেই আন্দোলনের পটভুমিতেই রাজশাহী বিশ্বদ্যিালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। মতিহারের সবুজ চত্বরে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য যেমন প্রতিটি মানুষের চোখ জুড়িয়ে দেয় তেমনি এখানকার অবকাঠামোগুলোও হৃদয়কে পুলকিত করে তোলে। তেমনই একটি অবকাঠামো হচ্ছে শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইট দিয়ে ঢুকে ডান দিকে যেতেই চোখে পড়বে সুবিশাল শহীদ মিনার। এরই পাদদেশে ১৯৯০ সালের ২১ ফেব্র“য়ারি দেশের প্রথম মুক্তযুদ্ধ ভিত্তিক এই সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেন তিন শহীদ শিক্ষক পত্নী বেগম ওয়াহিদা রহমান, বেগম মাস্তুরা খানম এবং শ্রীমতি চম্পা সমাদ্দার। শিল্পী ফণীন্দ্রনাথ রায় এর তৈরী শহীদ মিনারের মুক্তমঞ্চের গ্রীণরুমেই এই সংগ্রশালা গড়ে উঠে। ২১ ফেব্র“য়ারী ১৯৭৬ সালে সংগ্রহশালাটি প্রথম দর্শকদের জন্য খুলে দেয়া হয়। একই বছর তৎকালীন শিক্ষা উপদেষ্টা আবুল ফজল ৬ মার্চ সংগ্রহশালার প্রথম উদ্বোধন করেন। বিস্তারিত
একজন মামুনার রশিদের গল্প![]() ‘বাংলার মাটি নাকি সোনার চেয়েও খাঁটি। তাই এই মাটিকে নিয়েই আমি সারাজীবন কাটাতে চাই। বিশ্বের কাছে বাংলার মাটি যেন সোনার চেয়েও খাঁটি বলে মনে হয়, সেই লক্ষ্য নিয়েই আমি কাজ করছি।’ কাজের কথা উঠতেই এভাবেই বললেন মামুনার রশিদ। পুরোনাম সৈয়দ মামুনার রশিদ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে গেলেই দেখা মেলে এই মানুষটির। চুপ করে এক দৃষ্টে তাকিয়ে আছেন নিজের গড়া ভাষ্কর্যের দিকে। দুহাত কাদায় মাখামাখি। গভীর দৃষ্টিতে তাকাচ্ছেন আর মাঝে মধ্যে হাত লাগাচ্ছেন ভাষ্কর্যের এখানে-ওখানে। তবে এখানেই তার বিশেষত্বের শেষ নেই। ভুলোভালা এই মানুষটি গড়ে ফেলেছেন দেশের সবচেয়ে বড় মৃৎশিল্প। বিস্তারিত |
চত্বরময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছেন। দুপাশের ভবনের ফাঁকে ফাঁকে নানা মনোহর দৃশ্য আপনার নজর কাড়বে। শহীদ মিনারের ফুলের বাগান তো এখন নানান ফুলে নানা রঙের ছড়াছড়ি। কোথাও হলুদ, কোথাও গোলাপী আবার কোথাও বা সবুজ ঘাস আর ফুলের রং মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। বিভিন্ন ভবনের ভেতরের নয়নাভিরাম ফুলের বাগানও হয়ত বুকের ধুকধুকানি বাড়িয়ে... বিস্তারিত
|
আমাদের এই সাইট আপনারা কেমন দেখতে চান? লিখে জানান আমাদের কাছে। এখানে লিখুন অথবা মেইল করুন : runewsbd@gmail.com
Thank you, your message has been sent
|
|